Answer:
ভূমিকাওয়াহাবি ও ফরাজি আন্দোলন এর উভয়ের মধ্যে সাদৃশ্য ও কিছু বৈসাদৃশ্য বা অমিল লক্ষ্য করা যায়।
ইসলাম ধর্মের সংস্কার আন্দোলন:
উভয় আন্দোলনই মূলত ইসলাম ধর্মের সংস্কার আন্দোলন জাত নিচুতলার মুসলমানদের গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করে।
জমি ও নীলকর বিরোধী আন্দোলন:
উভয় আন্দোলনই ক্রমশ জমিদার ও নীলকর বিরোধী আন্দোলনে রূপান্তরিত হয়।
বৈপ্লবিক পরিবর্তনের কথা ভাবা হয়নি:
উভয় আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ কোন বৈপ্লবিক পরিবর্তন কথা ভাবেননি।
প্রজাস্বত্ব আইন পাস:
উভয় আন্দোলনে সরকার ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে ওঠে এবং কৃষকদের উন্নয়নকল্পে প্রজাস্বত্ব আইন প্রণয়ন করে জমিদার নীলকর মহাজন ও সুশাসন এর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার ব্যবস্থা করে।
বৈসাদৃশ্য বা অমিল :-
উভয় আন্দোলনের মধ্যে কিছু সাদৃশ্য বা মিল থাকলেও বৈসাদৃশ্য বা অমিল কম নেই।
বিস্তৃতির ক্ষেত্রে:
বিস্তৃতির দিক থেকে ফরাজি আন্দোলন ওয়াহাবি আন্দোলন অনেক বেশি ব্যাপক ও বিস্তৃত ছিল।শদ্ধিকরণের ক্ষেত্রে:
ফরাসিরা কুরআন বহির্ভূত উৎসব অনুষ্ঠান বর্জন করার নির্দেশ দিলেও ওয়াহাবিরা সেরকম কোন কঠোর নির্দেশ দেননি।
স্থায়িত্বের ক্ষেত্রে:
আঠার 831 খ্রিস্টাব্দে তিতুমীরের মৃত্যুর পর বাংলায় ওয়াহাবি আন্দোলনের অবসান ঘটল দুদুমিয়ার মৃত্যুর পর তাদের উত্তরাধিকারী ধর্মীয় আন্দোলন রূপে ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ফরাজি আন্দোলনের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখেন।
স্বাধীনতার ধারণাপত্র ক্ষেত্রে:
ফরাজি আন্দোলনের প্রধান উদ্দেশ্য কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা করা এবং একটি স্বশাসিত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা অপরদিকে ওহাবীদের উদ্দেশ্য ছিল ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিকল্প একটি মুসলিম শাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
উপসংহার:
ওহাবী ও ফরাজি আন্দোলনের মধ্যে কিছু সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য মুসলিম ধর্মের সংস্কার সাধনের উদ্দেশ্য শুরু হয় এবং উভয় এরই লক্ষ্য ছিল নিম্ন শ্রেণীর মানুষদের স্বার্থ রক্ষা করা।
প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ: বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ চ্যাপ্টারের গুরুত্বপূর্ণ। জানো কি?
সাঁওতালরা সুদের টাকা নেওয়া কি মহাপাপ বলে মনে করত। সাঁওতালদের কাছে সুদ আদায় ছিল নেই নীতিবিরোধী। ধার নেয়ার পরিবর্তে যদি মহাজন সভা গরু-মোষ নিত তাহলে সেক্ষেত্রে সাঁওতালদের সর্বনাশ নীতির দিক থেকে তাদের কোনো আপত্তি ছিল না। কিন্তু সুদ নিয়ে বাকি তারা পাপ মনে করায় মহাজনদের প্রতি তাদের অপরিসীম ঘৃণা ছিল।
Comments
Post a Comment