Krishak Bandhu Application:
দেশের কৃষকদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার যেমন পিএম কিষান যোজনা চালু করেছে তেমনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারও বাংলার কৃষকদের জন্য চালু করেছে ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্প। পিএম কিষান যোজনার থেকে কৃষক বন্ধু প্রকল্পে অনুদানের পরিমাণ অনেকটাই বেশি।
পিএম কিষান যোজনায় বছরে একজন কৃষক ৬,০০০ টাকা অনুদান পায়। আর কৃষক বন্ধু প্রকল্পে একজন কৃষক বছরের সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত অনুদান পেতে পারেন। তবে বাংলার কোনও কৃষক একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের কৃষক প্রকল্পের টাকা চাইলেই পেতে পারেন। রাজ্য সরকারের তথ্য বলছে বাংলার কৃষক বন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে বর্তমানে ৯১ লক্ষ ৫৭ হাজার কৃষক বছরে ৪০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত আর্থিক অনুদান পাচ্ছেন।
সম্প্রতি আবার কৃষক বন্ধু প্রকল্পের অনুদানের টাকা বাংলা কৃষকদের অ্যাকাউন্টে ঢোকার কথা। তার আগে এই প্রকল্পের বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। কেনই বা কিছু কৃষক বছরে ৪,০০০ টাকা এবং কিছু কৃষক ১০,০০০ টাকা অনুদান পান ।
Vision of Krishak Bandhu :
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষক বন্ধু প্রকল্প মূলত রাজ্যের চাষিদের কৃষিকাজের খরচ প্রদান করার উদ্দেশ্যে চালু হয়েছে। এই প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি হল।
(1) বছরে দুটি কিস্তিতে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের অনুদানের টাকা দেওয়া হয়।
(2) রবিশস্য ও খারিফ শস্য চাষের সময় এই অনুদানের অর্থ পাওয়া যায়। অক্টোবর থেকে মার্চ মাসের মধ্যে রবিশস্য চাষের টাকা দেয় সরকার। আর এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে খারিফ শস্য চাষের অনুদান দেওয়া হয়।
(3) একজন কৃষক বছরে মোট যত টাকা অনুদান পাবেন তা এই দুটো ভাগে ভেঙে দেওয়া হয়। খারিফ শস্য চাষের অনুদানের টাকা আর কিছুদিনের মধ্যেই কৃষকদের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে।
Krishak Bondhu Rules :-(1) কৃষক বন্ধু প্রকল্পের অর্থ পেতে হলে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
(2) আবেদনকারীর বয়স ন্যূনতম ১৮ বছর হতে হবে। সর্বোচ্চ ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত কৃষক বন্ধু প্রকল্পে নাম তোলার জন্য আবেদন করা যাবে।
(3) আবেদনকারী কৃষকের নিজের নামে জমির পাট্টা বা পর্চা থাকতে হবে। যাতে তিনি যে কৃষক সেটা সহজেই প্রমাণিত হয়।
(4) পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। অন্য রাজ্যে ভোটার কার্ড আছে, আর আপনি পশ্চিমবঙ্গে থাকেন তাহলে কিন্তু হবে না।
Benefits of Krishak Bondhu:-কৃষক বন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে চাষিরা আরও বেশ কিছু সুবিধা পেয়ে থাকেন। ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সের মধ্যে কোনও কৃষক যদি হঠাৎ মারা যান তবে এই প্রকল্পের অধীনে তাঁর পরিবার ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পায়।
কৃষকের ১ একরের কম জমি থাকলে তিনি বছরে ৪,০০০ টাকা অনুদান পাবেন।
কৃষকের জমির পরিমাণ ১ একরের বেশি হলে তিনি বছরে ১০,০০০ টাকা অনুদান পাবেন।