Type Here to Get Search Results !

Ads

Krishak Bandhu Application 2023

Krishak Bandhu Application:

 দেশের কৃষকদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার যেমন পিএম কিষান যোজনা চালু করেছে তেমনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারও বাংলার কৃষকদের জন্য চালু করেছে ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্প। পিএম কিষান যোজনার থেকে কৃষক বন্ধু প্রকল্পে অনুদানের পরিমাণ অনেকটাই বেশি।

পিএম কিষান যোজনায় বছরে একজন কৃষক ৬,০০০ টাকা অনুদান পায়। আর কৃষক বন্ধু প্রকল্পে একজন কৃষক বছরের সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত অনুদান পেতে পারেন। তবে বাংলার কোন‌ও কৃষক একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের কৃষক প্রকল্পের টাকা চাইলেই পেতে পারেন। রাজ্য সরকারের তথ্য বলছে বাংলার কৃষক বন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে বর্তমানে ৯১ লক্ষ ৫৭ হাজার কৃষক বছরে ৪০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত আর্থিক অনুদান পাচ্ছেন।


সম্প্রতি আবার কৃষক বন্ধু প্রকল্পের অনুদানের টাকা বাংলা কৃষকদের অ্যাকাউন্টে ঢোকার কথা। তার আগে এই প্রকল্পের বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। কেনই বা কিছু কৃষক বছরে ৪,০০০ টাকা এবং কিছু কৃষক ১০,০০০ টাকা অনুদান পান ।


Vision of Krishak Bandhu :

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষক বন্ধু প্রকল্প মূলত রাজ্যের চাষিদের কৃষিকাজের খরচ প্রদান করার উদ্দেশ্যে চালু হয়েছে। এই প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি হল। 


(1) বছরে দুটি কিস্তিতে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের অনুদানের টাকা দেওয়া হয়।

(2) রবিশস্য ও খারিফ শস্য চাষের সময় এই অনুদানের অর্থ পাওয়া যায়। অক্টোবর থেকে মার্চ মাসের মধ্যে রবিশস্য চাষের টাকা দেয় সরকার। আর এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে খারিফ শস্য চাষের অনুদান দেওয়া হয়।

(3) একজন কৃষক বছরে মোট যত টাকা অনুদান পাবেন তা এই দুটো ভাগে ভেঙে দেওয়া হয়। খারিফ শস্য চাষের অনুদানের টাকা আর কিছুদিনের মধ্যেই কৃষকদের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে।


Krishak Bondhu Rules :-(1) কৃষক বন্ধু প্রকল্পের অর্থ পেতে হলে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।

(2) আবেদনকারীর বয়স ন্যূনতম ১৮ বছর হতে হবে। সর্বোচ্চ ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত কৃষক বন্ধু প্রকল্পে নাম তোলার জন্য আবেদন করা যাবে।

(3) আবেদনকারী কৃষকের নিজের নামে জমির পাট্টা বা পর্চা থাকতে হবে। যাতে তিনি যে কৃষক সেটা সহজেই প্রমাণিত হয়।

(4) পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। অন্য রাজ্যে ভোটার কার্ড আছে, আর আপনি পশ্চিমবঙ্গে থাকেন তাহলে কিন্তু হবে না।

Benefits of Krishak Bondhu:-কৃষক বন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে চাষিরা আরও বেশ কিছু সুবিধা পেয়ে থাকেন। ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সের মধ্যে কোন‌ও কৃষক যদি হঠাৎ মারা যান তবে এই প্রকল্পের অধীনে তাঁর পরিবার ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পায়।

কৃষকের ১ একরের কম জমি থাকলে তিনি বছরে ৪,০০০ টাকা অনুদান পাবেন।

 কৃষকের জমির পরিমাণ ১ একরের বেশি হলে তিনি বছরে ১০,০০০ টাকা অনুদান পাবেন।


Process of Enrollment in Krishak Budhu:-

আবেদনকারীর নিজের নামে জমি না থাকলেও তিনি কৃষক বন্ধু প্রকল্পের অনুদানের টাকা পাবেন, তবে তার জন্য কিছু শর্ত আছে। সেক্ষেত্রে জমির পাট্টা, গিফট ডিড, বন বিভাগের পাট্টা বা পর্চা নিজের নামে থাকলেও চলবে। পাশাপাশি তিনি যে কৃষক তার জন্য স্ব-ঘোষণা পত্র দিতে হবে। এই ঘোষণাপত্রের উপর সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের প্রধানকে শংসাপত্র দিতে হবে। একমাত্র তবেই জমিহীন কৃষকের আবেদন গ্রাহ্য করা হবে।

শুধু এখানেই শেষ নয়। এগুলির পাশাপাশি কৃষক বন্ধু প্রকল্পের জন্য আবেদন জানানোর সময় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নথিও জমা দিতে হবে। সেগুলি হল-

(1) আধার কার্ডের জেরক্স

(2) ভোটার আইডির জেরক্স

(3) আবেদনকারীর ব্যাঙ্ক পাস বইয়ের প্রথম পাতার প্রতিলিপি।

এক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে জনধন যোজনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকলে চলবে না। নিজের নামে আলাদা সেভিংস অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। সেই অ্যাকাউন্টের সঙ্গে নিজের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর এবং আধার কার্ড সংযুক্ত থাকতে হবে।

(4) আবেদনকারীর এক কপি পাসপোর্ট সাইজ রঙিন ছবি

(5) জমির পাট্টা বা পর্চার প্রতিলিপি

(6) এই সংক্রান্ত ফর্মে আবেদনকারীর মোবাইল নম্বর দিতে হবে, যেটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সংযুক্ত করা

(7) নিজের নামে জমি না থাকলে কৃষক হিসেবে স্ব-ঘোষণা পত্র ও পঞ্চায়েত প্রধানের শংসাপত্র একইসঙ্গে জমা দিতে হবে।

কৃষক বন্ধু প্রকল্পের ফর্মটি সঠিকভাবে পূরণ করে প্রয়োজনীয় নথিপত্র সহ তা স্থানীয় কৃষি আধিকারিক বা বিডিও অফিসে গিয়ে জমা করা যাবে। এছাড়াও দুয়ারে সরকার ক্যাম্পেও এই ফর্ম জমা দেওয়া সম্ভব।

*** OFFICIAL WEBSITE:- click here

Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Ads Section